ব্রডব্যান্ড কানেকশন

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-ব্রডব্যান্ড কানেকশন

ব্রডব্যান্ড কানেকশন (Broadband )

ব্রডব্যান্ড হচ্ছে একটি উচ্চ গতির সংযোগ পদ্ধতি যা কেবল, ভিএসএল (DSL Digital Subscriber Line) অথবা স্যাটেলাইট (Satellite) এ ব্যবহার করা হয়। প্রত্যেকটি পদ্ধতির জন্য ভিন্ন ভিন্ন হার্ডওয়ার ব্যবহার করতে হয়। পূর্বে ডায়াল আপ কানেকশন (Dial Up Connection) ছিল নন- ব্রডব্যান্ড (Non- Broadband) এবং তা ছিল সভা।

এখন প্রায় সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ব্রডব্যান্ড কানেকশন (Broadband Connection) ব্যবহার করছে। এটি বিস্তৃত ফ্রিকোয়েন্সির(Wide Range Frequency) একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ডাটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি যা একই সময়ে প্রচুর সংখ্যক সিগন্যালকে খুব দ্রুত ট্রান্সমিট করতে পারে।

আবার ব্রডব্যান্ডকে সহজভাবে বলা যায়, উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ইন্টারনেট ব্যবহার করার একটি পদ্ধতি যা সচারচর ব্যবহৃত ভারাল-আপ পদ্ধতির চেয়ে দ্রুত গতি সম্পন্ন।

প্রভব্যান্ড কানেকশন (Broadband Connection)

উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগের পদ্ধতি হচ্ছে ব্রডব্যান্ড কানেকশন। ব্রডব্যান্ড কানেকশনের জন্য কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যথা:
ডিজিটাল সাবক্রাইবার লাইন (ডিএসএল)

• ফেবুল মডেম
• ওয়্যারলেস
• স্যাটেলাইট
• ব্রডব্যান্ড ওভার পাওয়ারলাইন (বিপিএল)

 

 

ব্রডব্যান্ড কানেকশন

 

ডিজিটাল সাবক্রাইবার লাইন (Digital Subscriber Line DSL): ডিএসএল (DSL Digital Subscriber Line) এমন একটি প্রযুক্তি বা প্রচলিত টেলিফোন লাইনগুলো উচ্চ- ব্যান্ডউইডথ ডাটা যেমন: মাল্টিমিডিয়া এবং ভিডিও পরিষেবা গ্রাহকদের নিকট পরিবহণের (ট্রান্সমিট) জন্য ব্যবহার করা হয়।

ডিএসএল নিবেদিত(Dedicated), পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট, পাবলিক নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস সরবরাহ করে। এটি ফাইল শেয়ারিং, ছবি এবং গ্রাফিক্স, মাল্টিমিডিয়া ডাটা, অডিও এবং ভিডিও কনফারেন্সিং এবং আরও অনেক কিছুর জন্য অনুমতি দেয়। ডিএসএল সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে। যথা:

১. সিমেট্রিক ডিজিটাল সাবস্কাইবার লাইন (Symmetric Digital Subscriber Line SDSL): আপলোড এবং ডাউনলোড গতি একই থাকে।

২. অ্যাসিমেট্রিক ডিজিটাল সাবক্রাইবার লাইন (Asymmetric Digital Subscriber Line- ADSL): আপলোডের চেয়ে ডাউনলোডের গতি বেশি।

৩. ভেরি হাই রেট ডিজিটাল সাবক্রাইবার লাইন (Very High Rate Digital Subscriber Line-VDSL) অনেক দ্রুত অ্যাসিমেট্রিক গতির বৈশিষ্ট্যযুক্ত।

 

ব্রডব্যান্ড কানেকশন

 

কেবল মডেম (Cable Modem):

কেল মডেম (Cable Modem) এমন এক ধরনের নেটওয়ার্ক ব্রিজ বা হাইব্রিড ফাইবার-কো- (Hybrid Fibre Conxial – HFC), রেডিও ফ্রিকোরেশি এবং কো-অ্যান্সিয়াল কেবুলের কাঠামোতে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি চ্যানেলগুলির মাধ্যমে উভমূখী যোগাযোগ করে থাকে।

ওয়ারলেস কমিউনিকেশন (Wireless Communication) এমন এক ধরনের কমিউনিকেশন বা তারবিহীন (Wirelessly) কাজ করে। এতে রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে দুই বা ততোধিক ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে ব্যবহার করা হয়।

 

ব্রডব্যান্ড কানেকশন

 

স্যাটেলাইট (Satellite): মহাশূন্যে অবস্থিত স্যাটেলাইট, পৃথিবীতে অবস্থিত অ্যান্টেনাতে সংকেত প্রেরণের জন্য রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে যোগাযোগ করে। অ্যান্টেনাসমূহ সংকেত গ্রহণের মাধ্যমে আগত তথ্যকে প্রক্রিয়া করে থাকে। এতে দুই ধরনের ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যথা:

একটি অ্যান্টেনা একটি ধাতব কাঠামো যা রেডিও ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গগুলিকে গ্রহণ এবং / অথবা প্রেরণ করে। অ্যান্টেনা ছোট থেকে বড় সব আকারের হয়। যা টিভি দেখার জন্য লক্ষ লক্ষ মাইল দূরে স্যাটেলাইট থেকে সিগন্যাল গ্রহণ করতে পারে।

১) আপনিক ফ্রিকোয়েন্সি: পৃথিবীতে অবস্থিত অ্যান্টেনা থেকে স্যাটেলাইট করাবর সংকেত প্রেরণের জন্য যে ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করা হয় তাকে আপলির ফ্রিকোয়েন্সি বলে।
কোনো করণ প্রতি সেকেন্ডে বগুগুলো পূর্ণচক্র সম্পন্ন করে তাকে ফ্রিকোয়েন্সি বলে। এটি হার্টজ(Hz) যারা পরিমাপ করা

২) ডাউনলিংক ফ্রিকোয়েন্সি: মহাশূন্যে অবস্থিত স্যাটেলাইট থেকে পৃথিবীতে অবস্থিত অ্যান্টেনা বরাবর সংকেত প্রেরণের জন্য যে ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করা হয় তাকে ডাউনলিংক ফ্রিকোয়েন্সি বলে

 

ব্রডব্যান্ড কানেকশন

 

 

ব্র্যান্ড তার পাওয়ার (Broadband Over Powerline BPL): ব্র্যান্ড ওভার পাওয়ারলাইন এমন একটি ইন্টারনেট সেবার ধরন যেখানে গ্রাহকরা তাদের স্ট্যান্ডার্ড বৈদ্যুতিক আউটলেটগুলোর মাধ্যমে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সংযোগ পান। ব্যবহারকারীরা কোনো সকেটে কেবল একটি পাওয়ার লাইন মডেম প্লাগ করেন এবং এতে কোনো অতিরিক্ত বিশেষ ভ্যারিংয়ের প্রয়োজন হয় না।

 

ব্রডব্যান্ড কানেকশন

 

DSL MODEM)। মডুলেটর (Modulator) ও ডিমন্ডুলেটর (Demodulator) এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো মডেম (Mo+Dem – MODEM)। এটি এমন একটি ডিভাইস যা অ্যানালগ ডাটাকে ডিজিটাল ডাটার এবং ডিজিটাল ডাটাকে অ্যানালগ ডাটায় রূপান্তরিত করে। এটি এক বা একাধিক ক্যারিয়ার সিগন্যালকে ডিজিটাল ইনফরমেশনে এনকোড করে ট্রান্সমিট করার জন্য মডলেট করে এবং ডিকোড করার জন্য ডিমডুলেট করে।

google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment