ভাল ও নষ্ট কম্পোনেন্ট পৃথক করার পদ্ধতি

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-ভাল ও নষ্ট কম্পোনেন্ট পৃথক করার পদ্ধতি

ভাল ও নষ্ট কম্পোনেন্ট পৃথক করার পদ্ধতি (Identify the Fair and Falty Components)

নিম্নে রেজিস্টর, ইন্ডাক্টর, ফিউজ, স্পিকার, ক্যাপাসিটর, মাইক্রোফোন, ভাইব্রেটর, ডায়োড, ট্রানজিটর ও আইসিসমূহ ভাল বা নষ্ট কিনা বা পৃথক করার পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে।

• রেজিস্টর, ইন্ডাক্টর, ফিউজ, স্পিকার
মাল্টিমিটারকে ১০x ওহম রেঞ্জে বা ১০০x ওহম রেঞ্জে সেট করে রেজিস্টর, ইন্ডাক্টর, ফিউজ ও স্পিকার এর দুই প্রান্তে মাল্টিমিটারের পজিটিভ ও নেগেটিভ প্রোব সংযোগ করে রেজিস্ট্যাপ রিডিং নিলে যদি তাদের কালার কোড বা কোড বা স্পেসিফেকশন অনুযায়ী রিডিং আসে তবে কম্পোনেন্টগুলো ভালো এবং ব্যতিক্রম রিডিং আসলে কম্পোনেন্টগুলো নষ্ট বা খারাপ।

• ক্যাপাসিটর, মাইক্রোফোন ও ভাইব্রেটর মাল্টিমিটারকে ১০x ওহম রেছে বা ১০০x ওথম রেছে সেট করে ক্যাপাসিটর, মাইক্রোফোন ও ভাইব্রেটর এর দুই প্রান্তে মাল্টিমিটারের পজিটিভ ও নেগেটিভ প্রোব সংযোগ করে রেজিস্ট্যাল রিডিং নিলে যদি তাদের কোড বা স্পেসিফেকশন অনুযায়ী রিডিং আসে তবে কম্পোনেন্টগুলো ভালো নতুবা কম্পোনেন্টগুলো নষ্ট।

• ডায়োড
অ্যানালগ মাস্টিমিটার দিয়ে ডায়োড টেস্ট করার জন্য মাল্টিমিটারকে ১০% ওহম রেখে বা ১০০x হ রেঞ্জে সেট করে ডায়োডের অ্যানোড প্রান্তে মাল্টিমিটারের নেগেটিভ এবং ক্যাথোড প্রান্তে মাল্টিমিটারের গজিটিজ প্রোব সংযোগ করে রেজিস্ট্যান্স রিডিং নিলে যদি রেজিস্ট্যান্স রিডিং আসে তবে ভারোড ভাল ।

যদি রিডিং না আসে বা রেজিস্ট্যান্স রিডিং শূন্য (০) আগে এবং বিপরীতভাবে সংযোগ করলেও যদি রিডিং আসে তাহলে ডায়োড নষ্ট।

ডিজিটাল মাল্টিমিটার দিয়ে ডায়োড টেস্ট করার জন্য মাল্টিমিটারের ফাংশন সিলেক্টরকে ভারোত রেঞ্জে সেট করে মাল্টিমিটারের পজিটিভ প্রোব ডায়োডের অ্যানোড প্রান্তে এবং নেগেটিভ প্রো ডায়োডের ক্যাথোড প্রান্তে সংযোগ করে রিডিং নিলে রিডিং দেখাবে। বিপরীতভাবে সংযোগ করলে রিডিং দেখাবে না।

 

ভাল ও নষ্ট কম্পোনেন্ট পৃথক করার পদ্ধতি

 

ট্রানজিস্টর

অ্যানালগ মাল্টিমিটার নিয়ে ট্রানজিস্টর টেস্ট করার জন্য মাল্টিমিটারকে ১০ ওহম রেঞ্জে বা ১০০x ওহম রেঞ্জে সেট করে ট্রানজিস্টরের বেসকে কমন করে বেস কালেক্টর এবং বেস-ইমিটার রেজিস্ট্যান্স রিডিং নিলে যদি রিডিং দুটি সমান আসে তবে ট্রানজিস্টর ভাল।

কিন্তু যদি রিডিং না আসে বা রিডিং শূন্য (০) আসে এবং কালেক্টর-ইমিটারের রেজিস্ট্যান্স রিডিং আসে তবে ট্রানজিস্টর নষ্ট। বেসে যদি পজিটিভ প্রোব কমন ধরে বেস কালেক্টর এবং বেস-ইমিটার রিডিং আসে তবে ট্রানজিস্টরটি পিএনপি।

google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

বেসে যদি নেগেটিভ প্রোব কমন ধরে বেস কালেক্টর এবং বেস-ইমিটার রিডিং আসে তাহলে ট্রানজিস্টরটি এনপিএ ডিজিটাল মাল্টিমিটার দিয়ে ট্রানজিস্টর টেস্ট করার জন্য মাল্টিমিটারের ফাংশন সিলেক্টরকে ডায়োড রেঞ্জে সেট করে ট্রানজিস্টরের বেসকে কমন করে বেস কালেক্টর এবং বেস-ইমিটার রেজিস্ট্যান্স রিডিং নিলে যদি রিডিং দুটি সমান আসে তবে ট্রানজিস্টর।

 

ভাল ও নষ্ট কম্পোনেন্ট পৃথক করার পদ্ধতি

 

কিন্তু যদি রিডিং না আসে বা রিডিং শূন্য(০) আসে এবং কালেক্টর-ইমিটারের রেজিস্ট্যান্স রিডিং আসে তবে ট্রানজিস্টর নষ্ট।বেসে যদি পজিটিভ প্রোব কমন ধরে বেস কালেক্টর এবং বেস-ইমিটার রিডিং আসে তবে ট্রানজিস্টরি এনপিএন।

বেসে যদি নেগেটিভ প্রোব কমন ধরে বেস কালেক্টর এবং বেস-ইমিটার রিডিং আসে তাহলে ট্রানজিস্টরটি পিএনপি।অর্থাৎ ডিজিটাল মাল্টিমিটারের রিডিং অ্যানালগ মাল্টিমিটারের বিপরীত।

 

ভাল ও নষ্ট কম্পোনেন্ট পৃথক করার পদ্ধতি

 

আইসি

মাল্টিমিটারকে ১০× ওহম রেঞ্জে বা ১০০ ওহম রেঞ্জে সেট করে আইসি এর কমন পিন হতে ইনপুট, আউটপুট ও পজিটিভ পিনের রেজিস্ট্যান্স রিডিং যদি স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী আসে তাহলে আইসি
ভাল।
কিন্তু যদি রিডিং না আসে বা রিডিং শূন্য (০) আসে তবে আইসি নষ্ট।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment