ব্যবহারিক ২ঃ ১২ ভোল্টের একটি রেগুলেটেড পাওয়ার সাপ্লাই তৈরিকরণ

আজকের আলোচনা বিষয় হলো ব্যবহারিক পর্ব ২: একটি ১২ ভোল্টের রেগুলেটেড পাওয়ার সাপ্লাই তৈরির প্রক্রিয়া ও তার কার্যকারিতা। এটি জেনারেল ইলেকট্রনিক্স ১ কোর্সের “লো ভোল্টেজ ডিসি পাওয়ার সাপ্লাই তৈরি ও মেরামত” অংশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা শিখব কিভাবে নির্দিষ্ট ও স্থিতিশীল ভোল্টেজ সরবরাহ করার জন্য রেগুলেটেড পাওয়ার সাপ্লাই ডিজাইন ও নির্মাণ করা যায়, যা আধুনিক ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সঠিক ও নিরাপদ কার্যক্রমের জন্য অপরিহার্য। এছাড়াও, পাওয়ার সাপ্লাইয়ের বিভিন্ন উপাদান, তাদের ভূমিকা এবং কাজের নিয়মাবলী বিশ্লেষণ করা হবে, যা ইলেকট্রনিক্স শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও বাস্তব অনুশীলনে সহায়ক হবে।

ব্যবহারিক ২ঃ ১২ ভোল্টের একটি রেগুলেটেড পাওয়ার সাপ্লাই তৈরিকরণ

শ্রদ্ধেয় শিক্ষককের সহায়তায় এ জবটির উপকরণ ব্যবহার করে একজন শিক্ষার্থী রেগুলেটর আইসি ব্যবহার করে পাওয়ার সাপ্লাই তৈরির দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।

পারদর্শিতার মানদণ্ড

• কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) পরিধান করে কাজ শুরু করা;
• পাওয়ার সাপ্লাই তৈরিতে ব্যবহৃত টুলস ও কম্পোনেন্টের এর তালিকা প্রস্তুত করা;
• পাওয়ার সাপ্লাই তৈরিতে ব্যবহৃত টুলস ও কম্পোনেন্টের নির্বাচন ও সংগ্রহ করা;
• পাওয়ার সাপ্লাই তৈরিতে ব্যবহৃত টুলস ব্যবহার করা;
• পাওয়ার সাপ্লাই তৈরিতে ব্যবহৃত কম্পোনেন্টসমূহ পর্যবেক্ষণ করা;
• একটি পাওয়ার সাপ্লাই তৈরি করা;
• কর্মক্ষেত্রের নিজস্ব নিয়ম/ বিধি অনুসারে টুলসসমূহ পরিষ্কার করে নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;
•  কর্মক্ষেত্রের বিধি অনুযায়ী বর্জ্যসমূহ নির্ধারিত স্থানে অপসারণ/ সংরক্ষণ করা।

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল

ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই)

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ( টুলস):

প্রয়োজনীয় মালামাল:

সার্কিট ডায়াগ্রাম:

কাজের ধারাঃ

১. ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) পরিধান করবে।

২. পাওয়ার সাপ্লাই তৈরিতে ব্যবহৃত টুলস, কম্পোনেন্ট ও ইকুইপমেন্ট নির্বাচন করবে।

৩. পাওয়ার সাপ্লাই তৈরিতে ব্যবহৃত টুলস, কম্পোনেন্ট ও ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করবে।

৪. সোল্ডারিং আয়রন মাল্টিপ্লাগে সংযুক্ত করে গরম করবে ।

৫. পাওয়ার সাপ্লাই তৈরির জন্য ব্যবহৃত কম্পোনেন্টসমূহ পরীক্ষা করবে।

৬. ট্রান্সফরমারে প্রাইমারিতে এসি সাপ্লাই দিয়ে মাল্টিমিটারের সাহায্যে সেকেন্ডারি ভোল্টেজ পরিমাপ করবে এবং ডাটা টেবিলে লিখে রাখবে।

৭. সার্কিট ডায়াগ্রাম অনুযায়ী কম্পোনেন্টগুলো ভেরো বোর্ডে বসাবে।

৮. এবার সার্কিট ডায়াগ্রাম অনুযায়ী কম্পোনেন্টগুলো ভেরো বোর্ডে বসানো ঠিক আছে কিনা তা সার্কিট ডায়াগ্রামের সাথে মিলিয়ে দেখবে।

৯. এবার লিড ও রজন ব্যবহার করে সোল্ডারিং আয়রন দিয়ে কম্পোনেন্টগুলো সোল্ডারিং করবে।

১০. মাল্টিমিটার দিয়ে পাওয়ার সাপ্লাইয়ের আউটপুট ডিসি ভোল্টেজ পরিমাপ করবে এবং ডাটা টেবিলে লিখে রাখবে।

১১. কাটিং প্লায়ার্স দিয়ে কম্পোনেন্টগুলোর অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলবে।

১২. ওয়্যার ব্রাশ দিয়ে ময়লা পরিষ্কার করবে।

১৩. টুলস ও ইকুইপমেন্টসমূহ পরিষ্কার করে নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করবে।

১৪. বর্জ্যসমূহ নির্ধারিত স্থানে অপসারণ/ সংরক্ষণ করবে।

ফলাফল:

ডাটাটেবিল

সতর্কতা :

• কাজের শুরুতে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) পরিধান করা।
• সোল্ডারিং করার সময় সোল্ডারিং এর মেটাল বডিতে যেন হাত না লাগে সে দিকে সতর্ক থাকা ।
• ট্রান্সফরমারে লাইন দেওয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা।

১২ ভোল্টের একটি রেগুলেটেড ডিসি পাওয়ার সাপ্লাই তৈরিকরণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যবহারিক প্রয়োগভিত্তিক কাজ, যা ইলেকট্রনিক্স শিক্ষার্থীদের মৌলিক বিদ্যুৎ সরবরাহ পদ্ধতি সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। এই প্রকল্পে আমরা রেকটিফায়ার, ফিল্টার, ভোল্টেজ রেগুলেটরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের সঠিক সংযোগ ও কার্যপ্রণালী শিখেছি। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, কিভাবে বৈদ্যুতিক শক্তিকে নিরবচ্ছিন্ন ও স্থিতিশীল ডিসি ভোল্টেজে রূপান্তর করা যায়, যা নানা ইলেকট্রনিক ডিভাইসের জন্য অত্যাবশ্যক। এই রেগুলেটেড পাওয়ার সাপ্লাই তৈরি ও বিশ্লেষণের অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ইলেকট্রনিক প্রকল্পে বাস্তবভিত্তিক সমাধান তৈরিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি তৈরি করে।