পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ত্রুটি নির্ণয় ও মেরামত পদ্ধতি

আজকের আলোচনার বিষয়ঃ পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ত্রুটি নির্ণয় ও মেরামত পদ্ধতি। যা জেনারেল ইলেকট্রনিক্স ১ এর লো ভোল্টেজ ডিসি পাওয়ার সাপ্লাই তৈরি ও মেরামত অংশের অন্তর্গত।

 

পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ত্রুটি নির্ণয় ও মেরামত পদ্ধতি

 

পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ত্রুটি নির্ণয় ও মেরামত পদ্ধতি

এ অনুচ্ছেদে ত্রুটিমুক্ত কম্পোনেন্টন নির্ণয় দৃশামান ত্রুটিশনাক্ত, কনটিনিউটি টেস্ট, পাওয়ার পরীক্ষা ও ত্রুটিযুক্ত কম্পোনেন্ট পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়ের উপর আলোচনা করা হলো ।

ত্রুটিযুক্ত কম্পোনেন্টস নির্ণয় (Detection of Faulty Components)

১। দৃশ্যমান ত্রুটি শনাক্ত করতে হবে;

২। পাওয়ার পরীক্ষা করতে হবে;

৩। ফিউজ পরীক্ষা করতে হবে;

৪। ফিউজের পর থার্মিস্টর পরীক্ষা করতে হবে;

৫। কনটিনিউটি পরীক্ষা করতে হবে;

৬। ব্রিজ রেকটিফায়ার পরীক্ষা করতে হবে;

৭। পাওয়ার ট্রানজিস্টর ও মসফেট পরীক্ষা করতে হবে;

৮। ইনপুট ফিল্টার ক্যাপাসিটর পরীক্ষা করতে হবে;

৯। পাওয়ার আইসি পরীক্ষা করতে হবে;

১০। রেগুলেটর আইসি পরীক্ষা করতে হবে;

১১। আউটপুট ডায়োড পরীক্ষা করতে হবে।

 

পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ত্রুটি নির্ণয় ও মেরামত পদ্ধতি

 

দৃশ্যমান ত্রুটি শনাক্ত (Visible Error Detection)

যে কোন পাওয়ার সাপ্লাইয়ের দৃশ্যমান ত্রুটি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ঐ পাওয়ার সাপ্লাই সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। সার্কিটে পাওয়ার সরবরাহ দিয়ে দেখতে হবে সার্কিটটি ঠিকমত কাজ করছে কিনা। যদি না করে তবে সার্কিটের কভার খুলে সার্কিট বোর্ডটি ভালোভাবে দেখতে হবে যদি কোন সংযোগ বা কম্পোনেন্ট খোলা বা পোড়া অবস্থায় থাকে তবে তা চোখের দেখাতেই সনাক্ত করতে হবে।

কনটিনিউটি টেস্ট (Continuity Test)

সার্কিটটির পাওয়ার বন্ধ রেখে মাল্টিমিটারের সাহায্যে সার্কিটটির কনটিনিউটি টেস্ট করতে হবে। মাল্টিমিটারকে কনটিনিউটি অপশন বা ওহম রেঞ্জে রেখে কনটিনিউটি টেস্ট করতে হবে এবং ওপেন ও শর্ট সার্কিট টেস্ট করতে হবে।

google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

পাওয়ার পরীক্ষা (Power Test)

পাওয়ার পরীক্ষার ক্ষেত্রে ইনপুটে এসি সাপ্লাই দিয়ে মাল্টিমিটারের সাহায্যে ট্রান্সফরমারের প্রাইমারি ভোল্টেজ ও সেকেন্ডারি ভোল্টেজ পরিমাপ করতে হবে এবং বিভিন্ন তারে যে পরিমান ডিসি সাপ্লাই থাকার কথা তা আছে কিনা পরিমাপ করে দেখতে হবে। যদি কোথাও কাঙ্খিত ভোল্টেজ পাওয়া না যায় তাহলে ঐ লাইনের সাথে সম্পর্কিত কম্পোনেন্টগুলো পরীক্ষা করতে হবে।

 

পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ত্রুটি নির্ণয় ও মেরামত পদ্ধতি

 

ত্রুটি যুক্ত কম্পোনেন্ট পরিবর্তন (Change the Faulty Components)

১। প্রথমে মিটারের সাহায্যে সার্কিটের চিহ্নিত ত্রুটিযুক্ত কম্পোনেন্টগুলো পৃথক করতে হবে;

২। ত্রুটিযুক্ত কম্পোনেন্টের মান অনুযায়ী কম্পোনেন্টগুলো বাজার থেকে সংগ্রহ করতে হবে;

৩। সংগৃহিত নতুন কম্পোনেন্টগুলো মিটারের সাহায্যে ভালো মন্দ পরীক্ষা করতে হবে;

৪। পোলারিটিযুক্ত কম্পোনেন্টের পোলারিটি টার্মিনাল নির্ণয় করতে হবে;

৫। নতুন কম্পোনেন্টগুলো সোল্ডারিং আয়রনের সাহায্যে সার্কিটে সোল্ডারিং করতে হবে;

৬। সোল্ডারিং এর পর পিসিবির সোল্ডারিং গুলো একটু পরীক্ষা করে যেখানে দরকার পুনরায় সোল্ডারিং করতে হবে;

৭। সবকিছু ভালোভাবে পরীক্ষা করে সার্কিটে পাওয়ার দিতে হবে;

৮। এবার মাল্টিমিটারের সাহায্যে পরিমাপ করে দেখতে হবে পাওয়ার সাপ্লাইটি সঠিক ভাবে কাজ করছে কিনা ।

ত্রুটি:

একটি এসএমপিএস এর একটি ডায়োড ও রেজিস্টর পুড়ে গেছে। ডায়োড এবং রেজিস্টর লাগানোর পর ডায়োডটি পুনরায় পুড়ে যাচ্ছে।

কারণ:

সুইচিং মসফেটের সমস্যা।

 

পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ত্রুটি নির্ণয় ও মেরামত পদ্ধতি

 

প্রতিকার:

১) পিসিবি থেকে মসফেটটি সরিয়ে একটি মাল্টিমিটার দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে;

২) ত্রুটিযুক্ত মসফেটটিকে সরিয়ে দ্রুত অন্য আর একটি মসফেট প্রতিস্থাপন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে একই মসফেট পওয়া না গেলে সমতুল্য মসফেট লাগাতে হবে;

৩) মসফেট পরিবর্তনের পর পুড়ে যাওয়া ডায়োডটি পরিবর্তন করতে হবে এবং সম্ভব হলে অন্য তিনটি ডায়োডও পরিবর্তন করতে হবে। একটি ডায়োড বারবার পুড়ে যাওয়ার কারণে অন্য ডায়োডগুলো দুর্বল হয়ে যেতে পারে;

৪) এরপর এটিও পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে রেজিস্টর বা থার্মিস্টরের মতো অন্য কোনও অংশ সন্দেহজনক বলে মনে হতে পারে এবং যদি তেমন দেখা যায় তাহলে সেগুলো প্রতিস্থাপন করতে হবে

৫) সকল সন্দেহজনক কম্পোনেন্ট প্রতিস্থাপনের পর সিরিজ বোর্ডের মাধ্যমে পাওয়ার দিয়ে দেখতে হবে যে অন্য কোন সমস্যা আছে কি না?

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment