আজকে আমরা ওয়ার্কশপের দেয়ালে বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তার প্রতীক সম্মিলিত সতর্কতার নির্দেশনা সম্পর্কে আলোচনা করব। যা জেনারেল ইলেকট্রনিক্স ১ এর জেনারেল ইলেকট্রনিক্স বিষয়ক স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা অংশের অন্তর্গত।
Table of Contents
ওয়ার্কশপের দেয়ালে বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তার প্রতীক সম্মিলিত সতর্কতার নির্দেশনা
ওয়ার্কশপে বিপজ্জনক রাসায়নিক, তেজস্ক্রিয় পদার্থ, জৈবিক পদার্থ, ধারালো যন্ত্র, ভঙ্গুরযোগ্য কাঁচের জিনিসপত্র এবং জ্বলনযোগ্য গল্প থাকতে পারে। ওয়ার্কশপে কাজ করার সময় এ বঞ্চগুলোর সাথে যুক্ত বিভিন্ন বিপদ সম্পর্কে গভীরভাবে সচেতন থাকা দরকার। নিম্নে ওয়ার্কশপের দেয়ালে বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা চিহ্ন এবং প্রতীক সম্বলিত সতর্কতার নির্দেশনার উপর আলোচনা করা হয়েছে।
নিরাপত্তা চিহ্ন এবং প্রতীক (Safty Sign and Symbol)
নিরাপত্তা চিহ্নগুলোকে কখনও কখনও সুরক্ষা চিত্র বলে। কোন প্রতীক বা লিখিত শব্দ একটি সম্পূরক সতর্কতা হিসাবে ব্যবহার করা হয়। প্রতীক একটি সমব্য বিপত্তি সম্পর্কে সতর্কতা বার্তা প্রদান করে। কারণ ছবি শব্দের চেয়ে ভাল তথ্য প্রকাশ করতে পারে। এতে গ্রাফিক চিহ্ন যোগ করা হয়। সতর্কতাবহুল লেবেল বা প্রতীক ৰা চিহ্ন কার্যক্ষেত্রের বিপদগুলো প্রদর্শন করে।
শব্দ (Word)
লেবেলের শীর্ষে বড় শব্দটি সংকেত শব্দ বলা হয়। এটি একটি নির্দিষ্ট রঙীন ব্যাকগ্রাউন্ডের সাথে সংমিশ্রণে ব্যবহৃত হয় এবং সম্ভাব্য বিপত্তিটির ডিগ্রীকে নির্দেশ করার জন্য নিরাপত্তা সতর্কতা প্রতীক বোঝানো হয়। রঙ্গিন পটভূমির কারণে সংকেত শব্দটি সাধারণত প্রথম উপাদান যা কোন সুরক্ষা লেবেলে দেখে তা লক্ষ্য করে। একটি সংকেত শব্দের তিনটি ধরণ আছে। যথা:
১. বিপজ্জনক –
বিপজ্জনক পরিস্থিতি নির্দেশ করতে ব্যবহার করা, যা এড়িয়ে যাওয়া হলে গুরুতর আঘাত বা মৃত্যু হতে পারে। এ সংকেত শব্দ সবচেয়ে চরম পরিস্থিতির ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়।
২. সতর্কীকরণ-
এ সংকেত একটি সম্ভাব্য বিপজ্জনক পরিস্থিতির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এটি দ্বারা বোঝায় যদি এ সংকেত এড়ানো না হয়, তবে গুরুতর আঘাত বা মৃত্যু হতে পারে।
৩. সাবধানতা-
সম্ভাব্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি নির্দেশ করতে ব্যবহার করা হয় যা এড়িয়ে যাওয়া না হলে ক্ষুদ্র বা মাঝারি আঘাত হতে পারে ।
কেবলমাত্র নিরাপত্তা-ক্ষতি নির্দেশ করার জন্য নিরাপত্তা রঙের প্রতীক (বিস্ময় চিহ্নসহ ত্রিভুজ ) ছাড়াও সতর্কতা নির্দেশ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
রঙ (Color)
রঙ সাধারণত দর্শকদের সহজেই মনোযোগ আকর্ষণ করে। লাইনের কাছাকাছি গেলে গ্রাফিক্স দ্বারা নির্দিষ্ট তথ্যটি আলাদা করা যায়।
নিরাপত্তা চিহ্নের শ্রেণীবিভাগ (Classification of Safety Sign)
নিয়ন্ত্রক চিহ্ন (Control Sign):
কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দেশাবলী থাকে। ইহা মেনে চলা অত্যাবশ্যক। বাধ্যতামূলক নির্দেশাবলি অবশ্যই কার্যকর হওয়া উচিত। এ জন্য সাদা রঙের মধ্যে একটি নীল ডিস্ক ধরনের চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। শুধুমাত্র বাধ্যতামূলক ক্ষেত্রে একটি প্রতীকী বিন্যাসে কালো বা সাদা রঙ থাকে।
নিষিদ্ধ নিয়ন্ত্রক চিহ্ন
নিষিদ্ধ নির্দেশাবলি নিয়ন্ত্রক চিহ্নটি নির্দেশ করে কোনো ক্রিয়াকলাপ অনুমোদিত নয়। নিষেধাজ্ঞা নির্দেশনার জন্য ব্যবহার করা প্রতীকের আকৃতি লাল গোলক এবং একটি কালো প্রতীকের উপর স্প্ল্যাশ হয়। নিষিদ্ধ নির্দেশনার মধ্যে শুধুমাত্র লাল বৃত্ত এবং চিহ্ন থাকে।
সতর্কতা সংকেত (Warning Signal) :
কোনো সম্ভাব্য বিপজ্জনক অবস্থার সতর্কতা বুঝাতে এ সংকেত ব্যবহৃত হয়। প্রতীকী সতর্কতা সংকেতের আকৃতি ত্রিভুজ হলুদ অভ্যন্তর এবং চিহ্ন কালো রঙের হয়।
বিপদ সংকেত (Danger Signal) :
কোন বিপজ্জনক বা বিপজ্জনক অবস্থার সতর্কতার ক্ষেত্রে এ চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।
ফায়ার সাইন ইন (Fire Sign In) :
ফায়ার এলাম এবং অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামের অবস্থান সংক্রান্ত পরামর্শ দেয়ার ক্ষেত্রে এ চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। ফায়ার লক্ষণগুলো একটি লাল পটভূমিতে একটি সাদা প্রতীক এবং সাদা লেখা থাকে।
জরুরী তথ্য চিহ্ন (Emergency Information Sign)
জরুরী অবস্থার (প্রস্থান করা, ফার্স্ট এইড, নিরাপত্তা সরঞ্জাম ইত্যাদি) ক্ষেত্রে এটি অবস্থান বা দিক নির্দেশ করে। এ লক্ষণগুলো একটি সবুজ পটভূমিতে একটি সাদা রঙের প্রতীক এবং সাদা রঙের লেখা থাকে।
সাধারণ তথ্য চিহ্ন (General Information Sign):
ভুল ধারণা বা বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্য সাধারণ প্রকৃতির তথ্যযুক্ত চিহ্ন ব্যবহার করা। এগুলো প্রায়ই হাউসকিপিং জাতীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

আরও দেখুনঃ