আজকের আলোচনার বিষয়ঃ পরিমাপক যন্ত্র এর প্রকারভেদ। যা জেনারেল ইলেকট্রনিক্স ১ এর ইলেকট্রনিক কাজে ব্যবহৃত হ্যান্ড টুলস, পরিমাপক যন্ত্র এবং কম্পোনেন্টসমূহের ব্যবহার ও টেস্টিং অংশের অন্তর্গত।
Table of Contents
পরিমাপক যন্ত্র এর প্রকারভেদ (Types of Measuring Instruments)
যে সকল যন্ত্র দ্বারা ইলেকট্রিক্যাল রাশি যেমন ভোল্টেজ, কারেন্ট, এনার্জি, ফ্রিকোয়েন্সি, পাওয়ার, পাওয়ার ফ্যাক্টর ইত্যাদি পরিমাপ করা যায় তাকে বৈদ্যুতিক পরিমাপক যন্ত্র বলে।
পরিমাপক যন্ত্র দুই প্রকার যথা:
১। এ্যাবসলিউট ইন্সট্রুমেন্ট ও
২। সেকেন্ডারি ইন্সট্রুমেন্ট।
এ্যাবসলিউট ইন্সট্রুমেন্ট
যে সকল পরি-মাপক যন্ত্র বিক্ষেপের মাধ্যমে কেবলমাত্র যন্ত্রের ধ্রুবকগুলোর জন্য পরিমাপের মান প্রদর্শন করে এবং এর জন্য অন্য কোনো ইন্সট্রুমেন্টের সাথে তুলনা করার প্রয়োজন হয় না তাকে এ্যাবসলিউট ইন্সট্রুমেন্ট বলে। যেমন-ট্যানজেন্ট গ্যালভানো মিটার।
সেকেন্ডারি ইন্সট্রুমেন্ট (Secondary Instrument):
যে সকল পরি-মাপক যন্ত্র কেবলমাত্র বিক্ষেপের মাধ্যমে পরিমাপের মান সরাসরি প্রদর্শন করে এবং এর জন্য অন্য কোনো ইন্সট্রুমেন্টের সাথে তুলনা করা প্রয়োজন হয় না তাকে সেকেন্ডারি ইন্সট্রুমেন্ট বলে। যেমন- ভোল্টমিটার, অ্যামমিটার।
পরিচালনের ধরন অনুসারে পরি-মাপক যন্ত্র দুই ধরনের। যথা:
অ্যানালগ মিটার (Analogue Meter):
যে সমস্ত মিটার দাগাঙ্কিত ছেলের উপর পরেন্টারের ডিরেকশন দ্বারা বৈদ্যুতিক রাশি যেমন- ভোল্টেজ, কারেন্ট, এনার্জি, ফ্রিকোয়েন্সি, পাওয়ার, পাওয়ার ফ্যাক্টর ইত্যাদির পরিমাণ নির্দেশ করে তাদেরকে অ্যানালগ মিটার বলে।
ডিজিটাল মিটার (Digital Meter):
যে সমস্ত মিটার সরাসরি পাণিতিক সংখ্যা বা ডিজিটের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক রাশি যেমন- ভোল্টেজ, কারেন্ট, এনার্জি, ফ্রিকোয়েন্সি, পাওয়ার, পাওয়ার ফ্যাক্টর ইত্যাদির পরিমাণ নির্দেশ করে তাদের ডিজিটাল মিটার বলে।
কার্যক্রম অনুসারে
কার্যক্রম অনুসারে পরি-মাপক যন্ত্র তিন ধরনের। যথা:
১. ইন্ডিকেটিং ইনস্ট্রুমেন্ট (Indicating Instrument)
২. রেকডিং ইনস্ট্রুমেন্ট (Recording Instrument)
৩. ইন্টিগ্রেটিং ইনস্ট্রুমেন্ট (Integrating Instrument)

আরও দেখুনঃ