আজকের আলোচনার বিষয়ঃ ভোল্টেজ, কারেন্ট, রেজিস্ট্যান্স, ক্যাপাসিট্যান্স, ইম্পিড্যান্স, পাওয়ার ও ফিকোয়েন্সি এর প্রাথমিক ধারণা ও সূত্রসমূহ । যা জেনারেল ইলেকট্রনিক্স ১ এর জেনারেল ইলেকট্রনিক্স বিষয়ক স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা অংশের অন্তর্গত।
Table of Contents
ভোল্টেজ, কারেন্ট, রেজিস্ট্যান্স, ক্যাপাসিট্যান্স, ইম্পিড্যান্স, পাওয়ার ও ফিকোয়েন্সি এর প্রাথমিক ধারণা ও সূত্রসমূহ
ভোল্টেজঃ
ভোল্টেজ একটি বৈদ্যুতিক সার্কিটের পাওয়ার উৎস থেকে আসা চাপ যা চার্জড ইলেকট্রনগুলোকে (কারেন্ট) একটি কন্ডাক্টিং লুপের মাধ্যমে ঠেলে দেয় এবং তাদের কাজ করতে সক্ষম করে। যেমন- একটি লাইট আলোকিত করে।
অন্যভাবে বলা যায়, বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের দুটি প্রান্তের মধ্যে চার্জের সম্ভাব্য পার্থক্যের পরিমাণকে ভোল্টেজ বলে। ভোল্টেজকে ইলেকট্রমোটিভ ফোর্সও বলা হয়। এর একক ভোল্ট (Volt)। ইহাকে V প্রকাশ করা হয়।
সূত্র (Formula):
V=IR
এখানে,
I = কারেন্ট এবং এর একক অ্যাম্পিয়ার (Ampere)
R = রেজিস্ট্যান্স এবং এর একক ওহম (Ohm)
কারেন্ট কোনো বৈদ্যুতিক বর্তনীতে পরিবাহীর মধ্য দিয়ে একক সময়ে ইলেকট্রনের প্রবাহকে কারেন্ট বলে। অন্যভাবে বলা যায়, কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে (একক সময়ে) যে পরিমান চার্জ প্রবাহিত হয় তাকে কারেন্ট বলে। ইহাকে I দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ইহার একক অ্যাম্পিয়ার (Ampere)। অ্যাম্পিয়ারকে A দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

সূত্র (Formula) :
I=V/R
এখানে,
V = ভোল্টেজ এবং এর একক ভোল্ট (Volt),
R = রেজিস্ট্যান্স এবং এর একক ওহম (Ohm)।
I= Q /T
এখানে,
Q = চার্জ এবং এর একক কুলম্ব (Coulomb),
T= সময় এবং এর একক সেকেন্ড (Second)।
কারেন্ট দুইপ্রকার যথা:
চল বিদ্যুৎ (Alternating Current) ও স্থির বিদ্যুৎ ( Direct Current) ।
রেজিস্ট্যান্স:
কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হওয়ার সময় পরিবাহী পদার্থের যে বৈশিষ্ট্য বা ধর্মের কারণে এটা বাধাগ্রস্থ হয় তাকে রেজিস্ট্যান্স বলে। ইহাকে R দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ইহার একক ওহম (Ohm)। ওহমকে (ওমেগা) দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
সূত্র (Formula):
R=V/I
এখানে,
V = ভোল্টেজ এবং এর একক ভোল্ট (Volt),
I = কারেন্ট এবং এর একক অ্যাম্পিয়ার (Ampere)।
ইন্ডাকট্যান্স:
ইন্ডাক্টরের যে বৈশিষ্ট্য বা ধর্মের কারণে বৈদ্যুতিক সার্কিটের কারেন্ট প্রবাহের হঠাৎ পরিবর্তন বাধাপ্রাপ্ত হয় তাকে ইন্ডাকট্যান্স বলে। ইহাকে L দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ইহার একক হেনরি (Henry)। একে আবার মিলিহেনরি ও মাইক্রোহেনরি দ্বারাও প্রকাশ করা হয়। হেনরিকে h বা H দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
সূত্র (Formula):
L = ∮(I)/I
এখানে,
∮(I)= কারেন্ট ও এর ম্যাগনেটিক ফ্লাক্স এবং এর একক ওয়েবার(Weber)
I = কারেন্ট এবং এর একক অ্যাম্পিয়ার (Ampere) ।
ক্যাপাসিট্যান্সঃ
ক্যাপাসিটরের যে বৈশিষ্ট্য বা ধর্মের কারণে ক্যাপাসিটর বৈদ্যুতিক চার্জ সঞ্চয় করে রাখতে পারে তাকে ক্যাপাসিট্যান্স বলে। ইহাকে C দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ইহার একক ফ্যারাড (Farad)। একে আবার মিলিফ্যারাড ও মাইক্রোফ্যারাড দ্বারাও প্রকাশ করা হয়। ফ্যারাডকে f বা F দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
সূত্র (Formula):
C= Q/V
এখানে,
C = ক্যাপাসিট্যান্স এবং এর একক ফ্যারাড (Farad)।
Q = চার্জের পরিমাণ এবং এর একক কুলম্ব (Coulomb)।
V = ভোল্টেজ এবং এর একক ভোল্ট (Volt)।
ইম্পিড্যান্স:
কোন ইলেকট্রিক্যাল সার্কিটের মোট (রেজিস্টিভ, ইন্ডাক্টিভ ও ক্যাপাসিটিভ) বাধাকে একত্রে ইম্পিড্যান্স বলে। ইহাকে Z দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ইহার একক ওহম (Ohm ) ।
সূত্র (Formula):
Z = √(R² + (XL – Xc)²)
এখানে,
Z= ইমপিড্যান্স এবং এর একক ওহম (Ohm )
R = রেজিস্ট্যান্স এবং এর একক ওহম (Ohm ) ।
XL = ইন্ডাক্টিভ রিয়াকট্যান্স এবং এর একক ওহম (Ohm)।
Xc = ক্যাম্পামিটিভ রিয়াকট্যান্স এবং এর একক ওহম (Ohm)।
পাওয়ার:
বিজ্ঞানের ভাষায় কাজ করার হারকে পাওয়ার বলে। অন্যভাবে বলা যায়, কোন বৈদ্যুতিক সার্কিটে একক সময় যে পরিমাণ ইলেকট্যিক্যাল এনার্জি ট্রান্সফার হয় তাকে পাওয়ার বলে। ইহাকে P দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ইহার একক ওয়াট (Watt)।
সূত্র (Formula):
P=VI
এখানে,
P = পাওয়ার,
V = ভোল্টেজ এবং এর একক ভোল্ট (Volt)।
I = কারেন্ট এবং এর একক অ্যাম্পিয়ার (Ampere) |
ফ্রিকোয়েন্সিঃ
প্রতি সেকেন্ডে বিদ্যুৎ প্রবাহের যে কয়টি সাইকেল সম্পূর্ণ হয় তাকে ফ্রিকোয়েন্সি বলে। একে f দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ইহার একক হার্টজ (Hertz) বা Hz |
সূত্র (Formula):
f= 1/T
এখানে,
f= ফ্রিকোয়েন্সি এবং এর একক হার্টজ(Hertz)।
T ‘ = সময় এবং এর একক সেকেন্ড (Second)।
I = কারেন্ট এবং এর একক অ্যাম্পিয়ার (Ampere)।
টাইম পিরিয়ডঃ
একটি সাইকেল সম্পূর্ণ করতে যে সময়ের প্রয়োজন হয় তাকে টাইম পিরিয়ড বলে। ইহাকে T দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ইহার একক সেকেন্ড (Second) বা S।
T = 1/f
আরও দেখুনঃ