আজকে আমরা সিআরটি পিকচার টিউব সম্পর্কে ধারণা সম্পর্কে আলোচনা করবো। যা জেনারেল ইলেকট্রনিক্স ১ এর টেলিভিশন বেসিকস অংশের অন্তর্গত।
সিআরটি পিকচার টিউব সম্পর্কে ধারণা
সিআরটি পিকচার টিউব CRT Picture Tube):
সিআরটি এর পূর্ণরূপ হলো ক্যাথোড রে টিউব (CRT Cathode Ray Tube) । মূলত এ টিউবটি হলো বায়ুশূন্য একটি ক্যাথোড টিউব। যার একপাশে একটি ফিলামেন্ট (Filament) থাকে। সেই ফিলামেন্টে বৈদ্যুতিক প্ররোগে তাপ উৎপন্ন করলে তার থেকে ক্যাথোড রশ্মি বের হয়। এ ফিলামেন্টকে ইলেকট্রন গানও (Electron Gun) বলা হয় ।
পিকচার টিউবের পেছনের প্রান্তে স্থাপিত ইলেকট্রন গান ছবির তড়িৎ সংকেতকে গ্রহনের পর সুইয়ের ন্যায় ইলেকট্রন বীম বা স্রোত ছুড়তে থাকে। সংকেতের তীব্রতার উপর নিক্ষিপ্ত ইলেকট্রনের সংখ্যা নির্ভর করে। টেলিভিশনে ছবি দেখার সময় আমরা পিকচার টিউবের বাহিরের অংশ দেখে থাকি। এর ভেতরের তলে ফসফরাস নামক একটি রাসায়নিক পদার্থের প্রলেপ দেয়া থাকে। একে ফ্লোরেসেন্ট (Fluorescent) পদার্থ বলে।
এ পদার্থের বৈশিষ্ট্য হলো এর উপর যে স্থানে ইলেকট্রন পতিত হয় সে স্থানে আলো বিকিরিত হয়। এ কারণেই এ ফ্লোরেসেন্ট (Fluorescent) পদার্থের উপর যখন ইলেকট্রন গান থেকে ইলেকট্রন আঘাত করে তখন আলো বিকিরিত হয়। একত্রে বহু ইলেকট্রন যেখানে আঘাত করে সেখানে উজ্জ্বল এবং যেখানে কম ইলেকট্রন আঘাত করে সেখানে অনুজ্জ্বল আলোক বিন্দুর সৃষ্টি হয় । উজ্জ্বল ও অনুজ্জ্বল আলোক বিন্দুর সমন্বয়ে দূর থেকে প্রেরিত দৃশ্যের চিত্র টিভির পর্দায় ভেসে ওঠে।
প্রথম সিআরটি ডিভাইসটিকে ব্রাউন টিউব বলা হয় এবং 1897 সালে নির্মিত হয়েছিল। প্রথম সিআরটি টেলিভিশনটি জনসাধারণের জন্য উপলব্ধ করা হয়েছিল 1 9 50 সালে। বহু বছর ধরে, নতুন ডিভাইসে কেবলমাত্র মোট আকার এবং স্ক্রিন মাত্রার উন্নতি হয়নি, কিন্তু এছাড়াও শক্তি ব্যবহার, উত্পাদন খরচ, ওজন, এবং ইমেজ / রঙ মধ্যে সিআরটিগুলি শেষ পর্যন্ত নতুন প্রযুক্তির দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে যা এই কঠোর উন্নতিগুলি প্রদান করে, যেমন এলসিডি , ওএলডিডি , এবং সুপার এমোলিড ।

আরও দেখুনঃ