আজকের আলোচনার বিষয়ঃ স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা । যা জেনারেল ইলেকট্রনিক্স ১ এর জেনারেল ইলেকট্রনিক্স বিষয়ক স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা অংশের অন্তর্গত।
Table of Contents
স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা
স্বাস্থ্য সচেতনতা হল ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্যের একটি সাধারণ উপলব্ধি। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি এবং সুরক্ষামূলক কারণগুলোর সম্পর্কে নির্দিষ্ট জ্ঞান অর্জন করাকে স্বাস্থ্য সচেতনতা বলা হয় ৷
স্বাস্থ্য (Health)
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা শারীরিকভাবে সুস্থ না থাকলে তারা মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে পারে না। ফলে কাজে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং কাজে অনুপস্থিতির হার বেড়ে যায়। ফলে কর্মী এবং মালিক উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সুতরাং কর্মী, প্রশাসন এবং মালিক পক্ষের সকলকেই স্বাস্থ্য সচেতন থাকা একান্ত আবশ্যক ।
স্বাস্থ্যবিধি (Hygiene )
স্বাস্থ্যবিধি হচ্ছে এমন একটি বিজ্ঞান যা আমাদেরকে অসুস্থ হওয়ার পূর্বে তার প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা করে থাকে। একজন মানুষের শারীরিক, মানসিক, পারিপার্শ্বিক ও সামাজিক অবস্থার পূর্ণাঙ্গ সুস্থ জীবনই হলো ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য । ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি যেমন আমাদের নিরাপদ রাখে, তেমনিভাবে অন্যদের অসুস্থ হওয়া থেকেও বিরত রাখে।
পেশাগত রোগসমূহ (Occupational Diseases)
কর্মস্থলের পরিবেশ এবং কাজের ধরনের কারণে কর্মরত অবস্থায় একজন কর্মী যে সকল রোগ বা ব্যাধিতে আক্রান্ত হয় বা হতে পারে তাদেরকে পেশাগত রোগ বলা হয়।

পেশাগত রোগের কারণসমূহ (Causes of Occupational Diseases)
কর্মরত অবস্থায় একজন শ্রমিক বা কর্মচারি সাধারণত ৩টি কারণে অসুস্থতায় ভুগতে পারে –
কর্মস্থলের পরিবেশ সংক্রান্ত:
বিশৃঙ্খলা, উচ্চ শব্দ, উচ্চ তাপমাত্রা,পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের অভাব, পর্যাপ্ত আলোর অভাব এবং ধূলা বালির কারণে একজন কর্মী নানা রকম রোগে আক্রান্ত হতে পারে। যেমন- দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া, ফুসফুস সংক্রান্ত রোগ, যক্ষা, শ্বাসনালীর প্রদাহ ইত্যাদি ।
কর্মী সংক্রান্ত:
প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাব, নির্দেশিকা সংক্রান্ত জ্ঞানের অভাব, বয়স ও দৈহিক সামর্থ্যের অভাবেও নানা রকম অসুস্থতা দেখা দিতে পারে ।
মানসিক অসুস্থতা:
কর্মক্ষেত্রে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার ও সহকর্মীদের আচার-আচরণ, বৈষম্য, চাকুরির অনিশ্চয়তা, অতিরিক্ত কাজের চাপ, দীর্ঘ কর্মঘন্টা, অকারণে হয়রানি, নির্যাতন ইত্যাদি একজন কর্মীর উপর বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে। যা তার কর্মক্ষেত্রের উৎসাহ ও উদ্দীপনা কমিয়ে দেয় এবং কাজের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে ধীরে ধীরে একসময় সে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
আরও দেখুনঃ