আজকে আমরা পাওয়ার সাপ্লাই এ ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কম্পোনেন্টসমূহ সম্পর্কে আলোচনা করবো । যা জেনারেল ইলেকট্রনিক্স ১ এর লো ভোল্টেজ ডিসি পাওয়ার সাপ্লাই তৈরি ও মেরামত অংশের অন্তর্গত।
Table of Contents
পাওয়ার সাপ্লাই এ ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কম্পোনেন্টসমূহ
১। ফিউজঃ
পাওয়ার সাপ্লাইকে অতিরিক্ত তাপ ও অতিরিক্ত ডোস্টেজ থেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
২। ভ্যারিস্টরঃ
ট্রানসিয়েন্ট ভোল্টেজ থেকে পাওয়ার সাপ্লাইকে রক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
৩। ইএমআই / আরএফআই ফিল্টার সেকশন:
ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ইন্টারফেরারেল থেকে সার্কিটকে রক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
৪। নেগেটিভ টেম্পারেচার কোইফিসিয়েন্ট থার্মিস্টর:
ইহা তাপমাত্রা নিরক্ষণের মাধ্যমে লোড রেইল ক্যাপাসিটরের চার্জিং কারেন্টকে নিয়ন্ত্রণ করে।
৫। ব্রিজ রেকটিফায়ার:
ইহা এসিকে পালসেটিং ডিসিতে রুপান্তর করে। বর্তমান পাওয়ার সাপ্লাইয়ে চারটি ডায়োড দিয়ে বা সিঙ্গেল চিপ আকারেও ব্রিজ রেকটিফায়ার পাওয়া যায়।
৬ । বড় ফিল্টার ক্যাপাসিটর:
ইহা ইনপুট রেকটিফায়ারের আউটপুটের রিপন দুর করে খাঁটি ডিসিতে রুপান্তর করে।
৭। রেজিস্টরঃ
রেজিস্টর কারেন্ট প্রবাহের পথে বাধা প্রদান করে। ইহা সার্কেটের বিভিন্ন কম্পোনেন্টকে সঠিক মানের কারেন্ট সরবরাহে সহযোগিতা করে।
৮। নন পোলারাইজড ক্যাপাসিটরঃ
এ ক্যাপাসিটরগুলো আরফাই ও অসিলেটর সেকশনে ব্যবহৃত হয়।
৯। জিনার ডায়োড
জিনার ডায়োড পাওয়ার আইসিকে রক্ষা করে এবং ওভারডোস্টেজে পাওয়ার সাপ্লাইকে বন্ধ করে দেয়।
১০। ডায়োড
পাওয়ার সাপ্লাই এ সাধারণ ডায়োডের পাশাপাশি ফাস্ট রিকোভারি ডায়োডও ব্যবহৃত হয়। যা পাওয়ার আইসিকে ডিসি ভোল্টেজ সরবরাহ করে।
১১। বাইপোলার ট্রানজিস্টর
ট্রানজিস্টর সাধারণত পাওয়ার সাপ্লাইজের অসিলেটর সার্কিটে সুইচিং ও অ্যাপ্লিফিকেশনের কাজে ব্যবহৃত হয়।
১২। আইজিবিটি ট্রানজিস্টর
পাওয়ার সাপ্লাই সার্কিটে আইজিবিটি সুইচিং ডিভাইস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
১৩। সিলিকন কন্ট্রোল রেকটিফায়ার:
ওভার ভোল্টেজ প্রোটেকশন সার্কিট হিসেবে ইহা পাওয়ার সাপ্লাই সার্কিটের প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি উভয় সেকশনেই ব্যবহার করা হয় ।
১৪। পাওয়ার আইসি
ইহা পাওয়ার এফইটি/ট্রানজিস্টরকে সুইচিং করার জন্য ওয়েডফরম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
১৫। পাওয়ার এফইটি
পাওয়ার আইসি থেকে প্রাপ্ত ওয়েতফরম দিয়ে এসএমপিএস ট্রান্সফরমারকে সুইচিং করে।
১৬। সুইচ মোড পাওয়ার ট্রান্সফরমার:
এ ট্রান্সফরমার ইনপুট এসিকে ভিন্ন ভোল্টেজের এসিতে রুপান্তর করে ।
১৭। সেকেন্ডারি আউটপুট ডায়োড:
ইহা ফাস্ট রিকোভারি ডায়োড (হাই স্পিড) এবং হাই পালসের এসি সিগন্যালকে ডিসিতে রুপান্তর করে এবং হাই স্পিড সুইচিং এর কাজেও ব্যবহৃত হয়।
১৮। সেকেন্ডারি ফিল্টার ক্যাপাসিটর
এ ক্যাপাসিটরগুলোও কিস্টারিং এর কাজ করে কিন্তু এগুলো প্রাইমারি সাইডের চেয়ে ছোট সাইজের ব্যবহৃত হয়।
১৯। সেকেন্ডারি আউটপুট ইন্ডাক্টর/কয়েল:
ইহা ফিল্টারিং এর কাজে ব্যবহৃত হয়।
২০। অপটোআইসোলেটর আইসি:
আউটপুট ভোল্টেজকে স্থির রাখার জন্য ফিডব্যাক লুপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের কাজ করে।
২১। এডজাস্ট্যাবল প্রিসিশন শান্ট রেগুলেটর আইসি :
ইহা ভোল্টেজ রেগুলেশনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
২২। ছোট প্রিসেট:
এটি একটি পটেনশিওমিটার বা ভেরিয়েবল রেজিস্টর যা আউটপুট ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
২৩। ভোল্টেজ রেগুলেটরঃ
এটি রেগুলেটর ৭৮xx ও ৭৯xx সিরিজের আইসি। যা আউটপুটে ফিক্সড ডিসি ভোল্টেজ পাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।

আরও দেখুনঃ