অপটিক্যাল ফাইবার কেবল

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-অপটিক্যাল ফাইবার কেবল

অপটিক্যাল ফাইবার কেবল (Optical Fiber Cable)

ফাইবার অপটিক বা অপটিক্যাল ফাইবার হলো এক ধরনের অত্যন্ত সরু কাঁচ বা প্লাস্টিকের তত্ত্ব। পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বৈদ্যুতিক সিগন্যালকে আলোক সিগন্যালে রূপান্তরিত করে ডাটা আদান- প্রসানের কাজে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল ব্যবহার করা হয়।

 

অপটিক্যাল ফাইবার কেবল

 

ফাইবার অপটিক কেবলের গঠন

অপটিক্যাল ফাইবারের তিনটি স্তর থাকে। যথা: কোর (Core), ক্লাডিং (Cladding) এবং জ্যাকেট (Jacket)
১. কোর (Core): কোর হলো সবচেয়ে ভেতরের ঘর যার মধ্য দিয়ে আলোক সিগন্যাল সঞ্চালন করে। এটি কাঁচ বা প্লাস্টিক নিয়ে তৈরি। কোরের ব্যাস ৮ থেকে ১০০ মাইক্রোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
২. ক্লাডিং (Cladding): কোরকে ঘিরে থাকা বাইরের ঘরটি হচ্ছে ক্লাডিং (Cladding), যা কাঁচের তেরি। এটি কোর থেকে নির্গত আলোক রশ্মি প্রতিফলিত করে তা পুনরায় কোরে ফেরত পাঠায়। ক্লাডিং (Cladding)-এর ব্যাস ১২৫ মাইক্রোমিটার।
৩. জ্যাকেট (Jacket): প্রতিটি ক্লাডিং-এর উপর প্লাস্টিক দিয়ে মোড়ানো আবরণটিকে জ্যাকেট (Jacket) বলে। এটি ফাইবারের কোর এবং ক্লাডিংকে ঘর্ষণ, মরিচা ও বিভিন্ন প্রকার দূষক পদার্থ থেকে রক্ষা করে।

ফাইবার অপটিক কেবুলের প্রকারভেদ (Classification of Fiber optic Cable)

অপটিক্যাল ফাইবারের মধ্য দিয়ে আলো দুইটি মোডে সঞ্চালিত হয়। যথা:

১. মাল্টিমোড ফাইবার (Multimode Fiber): এ ফাইবার দিয়ে বিভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলোক রশ্মি
পাঠানো যায় এবং একসাথে একাধিক ট্রান্সমিশন হতে পারে।

২. সিঙ্গেলমোড ফাইবার (Singlerode Fiber): এ ফাইবার দিয়ে একসাথে একটি মাত্র ট্রান্সমিশন
হতে পারে।

মাল্টিমোডকে আবার দুইটি মোডে ভাগ করা যায়।

যথা

১. ক) স্টেপ-ইন্ডেক্স ফাইবার (Step – Index fiber): কোরের প্রতিসরাঙ্ক সর্বত্র সমান থাকে এবং ব্যাস বেশি থাকে।

 

অপটিক্যাল ফাইবার কেবল

 

খ.)প্রডেড-ইডেন ফাইবার (Graded Index Fiber): কোরের প্রতিসরাঙ্ক কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি এবং পার্শ্ব বরাবর কমতে থাকে।

 

অপটিক্যাল ফাইবার কেবল

 

২. সামোভ ফাইবার (Monomode Fiber)- মনোমোড ফাইবার (Monomode Fiber) সিঙ্গেল ওয়েভ দেখে (Single Wave length) এ আলো বহন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। অর্থাৎ এ ফাইবারের মধ্য দিয়ে একটি মাত্র আলোক রশ্মি ট্রান্সমিট হয়।

ফাইবার অপটিক ফোরে বৈশিষ্ট্য

১. এটি পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে বীম আকারে আলোক সিগন্যাল ট্রান্সমিট করে।
২. এর শুরুতে ইলেকট্রিক্যাল টু লাইট এনার্জি কনভার্টার এবং শেষে লাইট টু ইলেকট্রিক্যাল এনার্জি কনভার্টার থাকে।
৩. একসাথে একাধিক তথ্য প্রেরণ করা যায়।
৪. শক্তির অপচয় হয় না বললেই চলে।
৫. এর রানি ক্ষিরতা রয়েছে।

ফাইবার অপটিক কেবলের সুবিধা

১. অধিক দ্রুতগতি সম্পন্ন।

২ ।উচ্চ ব্যান্ডউইড সম্পন্ন।

৩. নেটওয়ার্ক ব্যাকবোন হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

৪. ডাটা পরিবহনে কম শক্তি ক্ষয় করে।

৫. মানের অবনতি ঘটে না।

৬. আকারে ছোট এবং ওজন অত্যন্ত কম।

৭. বিদ্যুৎ চৌম্বক প্ৰভাৰ বা ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক ইন্টারকারেল(EMI) নেই।

৮. ডাটা সংরক্ষণের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বেশি।

ফাইবার অপটিক কেনরে অসুবিধা

১. ইউ(U) আকৃতিতে বাঁকানো যায় না।

২. ফাইবার অপটিক অত্যন্ত নামি।

৩. ফাইবার অপটিক ইনস্টল করা অন্যান্য কেরলের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কঠিন ।

৪. অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দক্ষ ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনবল প্রয়োজন হয়।

৫. দুটি কনভার্টার প্রয়োজন হয়।

google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment